প্রকাশিত: ১০/০৪/২০১৮ ৭:১৪ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:২২ এএম

নিউজ ডেস্ক::

মিয়ানমার থেকে যেভাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে বিতাড়িত করা হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতায় পড়বে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ফাতোও বেনসোউদা।

এ বিষযে একটি রুল চেয়ে সোমবার হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) আবেদন জানিয়েছেন মিজ বেনসোউদা।

আবেদনে বলা হয়েছে, জোর করে কোনো দেশের বাসিন্দাদের আন্তর্জাতিক সীমানার বাইরে ঠেলে দেয়া সব দিক থেকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মধ্যে পড়ে। জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার একে জাতিগত নিধন অভিযানের উদাহরণ বলে বর্ণনা করেছেন এবং মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসঙ্ঘ বিশেষ দূত একে গণহত্যার সব চিহ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, তাও উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে।

‘কিন্তু এখানে আদালতের আওতা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এই আদালতের সদস্য, কিন্তু মিয়ানমার সদস্য নয়।’

”কিন্তু তারপরেও আদালত এই বিষয়টিকে আওতাভুক্ত হিসাবে বিবেচনা করতে পারে, যেহেতু আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে অপরাধটি ঘটছে এবং আদালতের সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড তার শিকার হচ্ছে।” আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতায় পড়লে কৌঁসুলির দপ্তর তদন্ত করে অভিযোগ আনতে পারবে।

গত বছরের অগাস্টে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ফেলে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, লুটপাট, অপহরণ আর ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।

ময়ানমারে ভূমিকম্প

এএফপি
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় মান্দালে এলাকায় সোমবার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.৯। আবহাওয়া বিভাগ একথা জানিয়েছে। খবর সিনহুয়ার।
ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় মধ্যরাতের পরপরই আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিঙ্গু থেকে ৯.৬ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে ভূ-পৃষ্ঠের ৫ কিলোমিটার গভীরে।

এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প : আহত ৪
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিমানে সোমবার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে চার জন আহত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৬.১। স্থানীয় গণমাধ্যমে একথা বলা হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা ( জেএমএ) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩২ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ৩৫.২ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ১৩২.৬ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
খবর সিনহুয়া’র।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, আহতদের মধ্যে এক কিশোর রয়েছে। তার বাড়ি ওডা নগরীতে। ছেলেটি ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে তার বিছানা থেকে পড়ে যায়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগটির কারণে নগরীর কয়েকটি অংশে বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সহায়তার জন্য স্থানীয় সরকার সেল্ফ ডিফেন্স ফোর্সের সাহায্য চেয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন ভবন ও রাস্তায় ফাঁটল ধরেছে। তবে ওই অঞ্চলের সবগুলো পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে।
কোন ধরনের সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডিয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার, ভাসানচর এ অঞ্চলের ...